স্বদেশ ডেস্ক: সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের হারারেতে একই ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। এক যুগেরও বেশি সময় পর তারাই এখন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। অথচ এ দু’জনকেই একটা সময় লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করতে হয়েছে। এখন সাকিব তিনে আর মুশফিকের জায়গা চারে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এ দু’জনই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ভাগ্য গড়েছেন। বিশ্বকাপে সাকিব বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। কাল শ্রীলংকার বিপক্ষে কলম্বো সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন মুশফিক। ৫০ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় হাজার রান স্পর্শ করেন তামিম ইকবাল।
ছয় হাজারি ক্লাবে নাম লেখানোর দিনে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে টেনেছেন মুশফিকই। ম্যাচের নবম ওভারে উইকেটে গিয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। আফসোস শুধু একটাই, মাত্র দু’রানের জন্য পাননি সেঞ্চুরির দেখা। ১১০ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৯৮* রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। মেহেদী হাসান মিরাজ ছাড়া তাকে কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। ১১৭ রানে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারানোর পরও সপ্তম উইকেটে মুশফিক ও মিরাজ ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলকে দুইশ’ পার করান। শেষ ওভারে সেঞ্চুরির জন্য পাঁচ রান দরকার ছিল মুশফিকের। কিন্তু তিন বল খেলে তিনটি সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। এর আগে ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৮ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। কাল সেঞ্চুরি মিস করলেও মুশফিকের ৯৮ রানেই আট উইকেটে ২৩৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
এ দিন ইনিংসের শুরুর দিকেই মাইফলক ছুঁয়ে ফেলেন মুশফিক। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে পূর্ণ করেন ছয় হাজার ওয়ানডে রান। ছয় হাজার ছুঁতে এ ম্যাচে আট রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকের। বাংলাদেশ প্রথম নয় ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায়। এরপরই উইকেটে আসেন ৩২ বছর বয়সী মুশফিক। দল চাপে থাকায় শুরুতে ব্যাটিং করেছেন দেখেশুনে। মাইলফলকে পৌঁছতে খেলতে হয় ২০ বল। ১৫তম ওভারে লংকান স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়ার দ্বিতীয় বলটি স্কয়ার লেগে ঠেলে এক রান নিয়ে তামিম-সাকিবের সঙ্গী হয়ে যান মুশফিক। ক্যারিয়ারের ২০১তম ইনিংসে ছয় হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। তামিম সবার আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয় হাজার রান ছুঁয়েছিলেন। তার লেগেছিল ১৭৫ ইনিংস। সাকিব ১৯০ ইনিংসে ছয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। সব মিলিয়ে ছয় হাজার রান স্পর্শ করা ৬১তম ব্যাটসম্যান মুশফিক। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান শচীন টেন্ডুলকারের। ২০১২ সালে অবসরে যাওয়া শচীনের রান ৪৬৩ ম্যাচে ১৮,৪২৬। বাংলাদেশের হয়ে তামিম করেছেন সর্বোচ্চ ৬,৮৯০ রান।